পাংশায় কলেজ ছাত্রকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক ২ –
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
প্রতিপক্ষের ধারানা ছিলো মোটরসাইকেল চালকই তাদের শত্রু। তাই মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র, লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে ইচ্ছেমত জখম করে তারা এমডি সাজেদুর রহমান সিফাত (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রকে। মারাত্নক আহত সিফাতকে একাধিক হাসপাতালে রেফার্ড করার পরও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সিফাত রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামের ব্র্যাক কর্মী রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে (সিফাত) এবার রাজবাড়ীর পাংশা সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে।
সিফাতের বন্ধু আব্দুর রাজ্জাক জানান, পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া বাজার এলাকার শহিদ মন্ডলের কলেজ ছাত্র ছেলে স্বপন মন্ডলের সাথে একই গ্রামের ওয়াজেদ প্রামানিকের ছেলে সেলিম প্রামানিক (৩২), বিরোধ ছিলো। গত মঙ্গলবার বিকালে নিহত সিফাত পাশ্ববর্তী চরঝিকুরী গ্রামে হওয়া ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা দেখতে যায়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেরার দেখা হয় তার স্বপন মন্ডলের সাথে। এলাকার ছেলে হওয়ায় স্বপনের মোটরসাইকেল সে চালায়। পেছনে মোটরসাইকেল মালিক স্বপন মন্ডল বসে থাকে। তাদের মোটরসাইকেলটা কাচারীপাড়া বাজার সংলগ্ন সেলিম প্রামানিকের বাড়ীর সামনে পৌছতেই কতিপয় দূর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধ করে এবং কোন কারণ ছাড়াই ধারালো অস্ত্র, লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে মারপিট শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মোটরসাইকেল মালিক স্বপন মন্ডল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে ঘাতকরা মোটরসাইকেল চালক সিফাতকে স্বপন মন্ডল মনে করে গুরুতর জখম করে। সিফাতের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এবং সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে সিফাতের ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যার দিকে তার মরদেহ নিয়ে রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা করা হয়।
পাংশা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন জানান, আজ বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্তও ওই ঘটনায় পাংশা থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে পুলিশ ঘটনার পর থেকেই তৎপর হওয়ায় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সেলিম প্রামানিক এবং তার সহযোগি ও মৃত সোবাহান প্রামানিকের ছেলে হেলাল প্রামানিক (৩৫)কে আটক করেছে। সিফাতের পরিবারের সদস্যরা থানায় মামলা দায়ের করলেই আটককৃতদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।