ক্যান্সার থেকে বাঁচতে চান বালিয়াকান্দির আমিন উল্লাহ –
রুবেলুর রহমান, রাজবাড়ী বার্তা :
“আমার স্বামী অত্যান্ত ভাল মানুষ। আপনারা তাকে বাঁচান। ঘরে আমার ছোট দুইটি বাচ্চা। ওর বাবা না থাকলে, ওদের আমি কি করে মানুষ করবো। এভাবে কান্নাজরিত কন্ঠে ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বামী আমিন উল্লাহ (৪১)কে বাঁচাতে আকুতি জানান স্ত্রী শাহিদা পারভীন রানী।
আমিন উল্লাহ’র রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার রামদিয়া কাউন্নাইর গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় সে একটি এনজিওর হিসাব রক্ষক। কিন্তু অসুস্থ্যতার কারণে যেতে পারছেন না কর্মক্ষেত্রে।
জানাগেছে, মাত্র ৫ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে মা, দুই ভাই ও এক বোনের সংসারে বড় হয়েছেন আমিন উল্লাহ। এরপর ১৯৯৭ সালে এইচএসসি পাশ করে ঢাকায় যান এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ইনক্লুসিভ ফর ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (আইএনএম) নামের এনজিওতে হিসাব রক্ষণ বিভাগে যোগদান করেন। এরমধ্যে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। দাম্পত্য জীবনে সংসারে একে একে জন্ম নেয় দুইটি কন্যা সন্তান। যারা দুই জনই এখন শিশু। বড় মেয়ে উনাইসা (৯) তৃতীয় শ্রেনী ও ছোট মেয়ে উমাইয়া (৫) শিশু শ্রেনীর শিক্ষার্থী। হঠাৎ আমিন উল্লাহ’র জুন মাসে করোনায় আক্রান্ত হন এবং পরর্তীতে করোনা থেকে মুক্তি মিললেও অসুস্থ্যতা বাড়তে থাকে এবং কমতে থাকে রক্তের হিমোগ্লোবিন। এক পর্যায়ে বিভিন্নস্থানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সবশেষ নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সিএমএইচএতে তার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। এখন কেমু দেয়াসহ বনমেরু প্রতিস্থাপন করাতে পারলে সুস্থ্য হয়ে হয়তো আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন তিনি। কিন্তু বনমেরু স্থাপনসহ চিকিৎসার জন্য প্রায়োজন প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা। সামন্য এনজিওর চাকুরীই তার উপার্যনের একমাত্র মাধ্যম এবং অসুস্থ্যতার কারণে সেটাও এখন করতে পারছেন না। সংসারে স্ত্রীসহ ছোট দুইটি বাচ্চা। তার ওপর চিকিৎসার খরচ মেটাতে দিশেহারা পরিবারটি। চাকুরীর সুবাধে কিছু টাকা জমালেও তা এখন খরচ করছেন। সমাজের বৃত্তবান ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতার পাশাপাশি দোয়া কামনা করেছেন অসহায় পরিবারটি।
আমান উল্লাহ’র স্ত্রী শাহিদা পারভীন রানী জানান, স্বামী আমান তার সব কিছু। হঠাৎ রিপোর্ট দেখে যেদিন জেনেছেন, তার স্বামী ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত । সেদিন থেকে তার নাওয়া খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাদের সুখের সংসার, এখন অথৈ নদীর মত। তাদের ছোট ছোট দুইটি বাচ্চা। এখনও তারা বুুঝতে পারছে না কত বড় অসুখ হয়েছে তাদের বাবার। তারপর চিকিৎসার যে খরচ সেটাও তাদের পক্ষে জোগার করা সম্ভব না। এখন সমাজের হৃদয়বান ব্যাক্তিরা যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে হয়তো তার স্বামীকে বাঁচাতে পারবেন এবং বাবার আদর ভালবাসা পাবে ছোট দুইটি বাচ্চা।
তিনি আরও জানান, তার স্বামীকে সুস্থ করতে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। কিন্তু শেষ পরিনতি কি হবে তা জানেন না। তারপরও আল্লাহ ও সবার ওপর ভরসা রাখছে। এখন ভারতে যাবার জন্য পাসপোর্ট রেডি করছেন এবং দ্রুত ভারত যাবেন চিকিৎসা করাতে। আসলে সবার সহযোগিতা না পেলে চিকিৎসা করানো তার পক্ষে সম্ভব না। তাই আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি সবার দোয়া কামনা করেছেন তিনি।
ক্যান্সারে আক্রান্ত আমান উল্লাহ জানান, একটি এনজিওতে চাকুরী করে ভালই চলছিল তার সংসার। কিন্তু হঠাৎ ক্যান্সার ধরা পড়ায় তার সব কিছু এলোমেলো করে দিয়েছে। এখন দিশেহারা, কি করবেন আর কি হবে? তার স্ত্রীসহ ছোট ছোট দুইটি বাচ্চা আছে। তাদের জন্য তিনি বাঁচতে চান। কিন্তু যে রোগ তার ধরা পড়েছে, সে খরচ মেটানোর সাধ্য তার নাই। এখন ওপরে আল্লাহ আর জমিনে বৃত্তবান ও হৃদয়বান মানুষ তার ভরসা। গত মাসে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর থেকে জমানো ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারত যাবেন। সে জন্য নিকট আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অনেকে আশ্বাস দিয়েছেন সহযোগিতার। এতে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা জোগার হবে। কিন্তু তার তো প্রয়োজন প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা। তারপরও তিনি আশাবাদী রাজবাড়ীবাসী সহ দেশবাসী তার এই দূদিনে এগিয়ে আসবে এবং সবার সহযোগিতায় সুস্থ্য হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন।
আমিন উল্লাহ’র সাহায্য পাঠাতে ঃ- মোঃ ফজলুর রহমান, হিসাব নং- ১৬৩.১০১.২৮৩১৫ (ডাচ বাংলা ব্যাংক, যশোর ব্রাঞ্চ)।
এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সাহায্য পাঠাতে আমান উল্লাহ’র স্ত্রী ( বিকাশ ) ০১৬৮২৯৬৯৩৮৫; ( নগদ ) ০১৬৮২৯৬৯৩৮৫ ও ( রকেট ) ০১৬৮২৯৬৯৩৮৫২।