ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে পৌর নির্বাচন, রাজবাড়ী পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা মাঠে –
রাজবাড়ী বার্তা ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ধাপে ধাপে পৌরসভা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম ধাপে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ কয়েকটি পৌরসভায় ভোট। শেষ হবে মে মাসে। তবে মোট কয়টি ধাপে নির্বাচন হবে তা চূড়ান্ত হয়নি। ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
এদিকে, বেশ কিছু দিন ধরে রাজবাড়ী পৌরসভায় সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনা চালাতে শুরু করেছেন। মেয়র প্রার্থী হিসেবে যারা মাঠে নিমেছেন, তারা হলেন – বর্তমান মেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতা মহম্মদ আলী চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, বিএনপি নেতা ভিপি গাজী আহসান হাবিব, আওয়ামীলীগ নেতা হেদায়েত আলী সোহরাব, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহিদা চৌধুরী তন্বী, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পিয়াল, রাজবাড়ী সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজের প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর আলমগীর শেখ তিতুসহ আরো বেশ কয়েক জন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা গতকাল সোমবার কমিশনের ৭২তম সভা শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পৌরসভাসহ যেসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হবে, সেসব প্রতিষ্ঠানে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ভোট হবে। আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত পৌরসভার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন করতে হয়। এই ধাপে ২০ থেকে ২৫ টি পৌরসভায় ভোট নেওয়া হতে পারে। ইভিএম ব্যবহারের সুবিধার্থে এবার একাধিক দিনে পৌরসভা নির্বাচন হবে।
ইসির গতকালের সভা সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল চলতি মাসেই ঘোষণা করা হবে। এবারও দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে এবং নির্দলীয় প্রতীকে কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে।
সিইসি কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে গতকাল নির্বাচন ভবনে কমিশনের ৭২তম সভায় তিন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের অন্যান্য সিদ্ধান্তের বিষয়ে সিইসি জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ বাংলায় ভাষান্তর করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল নিবন্ধন অংশ বাদ দিয়ে এটি সংশোধনে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। এটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে।
সিইসি বলেন, সব পৌরসভায় ভোট নেওয়া হবে ইভিএমে। তবে ইউনিয়ন বা উপজেলা পরিষদের সব নির্বাচন ইভিএমে করা সম্ভব হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৌর নির্বাচন পাঁচটি ধাপে হতে পারে। তবে সংখ্যাটি চূড়ান্ত হয়নি। এ সময় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভা গঠনের পর প্রথম সভা থেকে এর মেয়াদ শুরু হয়। একেকটি পৌরসভার প্রথম বৈঠক একেক সময়ে হয়েছে। ফলে সব পৌরসভার মেয়াদ একসঙ্গে পূর্ণ হবে না। যে কারণে সব পৌরসভায় একসঙ্গে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘সব না হলেও যত দূর সম্ভব পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হবে। তবে নীতিগতভাবে আমরা ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’