রাজবাড়ীর মালিক গ্রুপ কার্যালয়ে ১৩ বাসের কাউন্টার উদ্বোধন, কমলো যাত্রী দূর্ভোগ –
জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ী থেকে ঢাকা, খুলনা, যশোর, বরিশাল, দর্শনা ও বগুড়া গামী যাত্রীরা আজ সোমবার থেকে পাচ্ছেন ওয়ানস্টপ সার্ভিসের সুবিধা। টিকেট সংগ্রহের জন্য এ সব যাত্রীদের যেতে হবে না অন্য কোথাও। তারা মূলত রাজবাড়ী জেলা শহরের বড়পুল সংলগ্ন “জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপ কার্যালয়”-এর নিচ তলায় পৌছলেই হবে। সেখানে আধুনিক সকল সুবিধা নিয়ে খোলা হয়েছে পরিবহন গুলোর কাউন্টার। আজ রবিবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই কাউন্টার গুলোর উদ্বোধন করেন, জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপের সভাপতি, চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টিজের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী।
সে সময় জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক মুরাদ হাসান, সহ-সাধারণ সম্পাদক রবিন কর্মকার গোবিন্দ, কোষাধ্যক্ষ কুঞ্জন কান্তি সরকার, সড়ক সম্পাদক ভানু কুমার সোম ও বিকাশ কুমার ঘোষ, নির্বাহী সদস্য মাহাবুবুল হক বাবু, অরুপ দত্ত হলিসহ অন্যান্য পরিবহণ মালিকরা। পরে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ইমাম হোসেন মেট্রো বলেন, রাজবাড়ী থেকে ১৩টি পরিবহণ বিভিন্ন জেলায় চলাচল করে। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানী ঢাকায় যায় রাবেয়া পরিবহণ, রাজবাড়ী পরিবহণ, সোহার্দ্য পরিবহণ, এমএম পরিবহণ, সুবর্ণ পরিবহণ, সরকার পরিবহণ, সাউদিয়া পরিবহণ, রাজবাড়ী লাইন এবং যশোর গামী আশা পরিবহণ, খুলনা,বগুড়া ও রাজশাহী গামী সরকার পরিবহণ, খুলনা গামি এ্যানি পরিবহণ, দর্শনা গামী রেখা পরিবহণ ও মায়া পরিবহণ, বগুড়া গামী রাজবাড়ী লাইন এবং একতা পরিবহণ। এতো দিন ওই সব পরিবহণের ৫৪টি ট্রিপ জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাউন্টারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছিলো।
জানাগেছে, জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপের সভাপতি কাজী ইরাদত আলী এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে কার্যালয় ভবন নির্মাণ কাজও শেষ পর্যায়ে। সেই সাথে শীত, ঝড় ও বৃষ্টি মধ্যে যাত্রীদের দূর্ভোগের বিষয়টি লক্ষ করে এ কার্যালয়ে ওয়ানস্টপ সার্ভিসের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যে উদ্যোগের অংশ হিসেবে আধুনিক সকল সুবিধা নিয়ে খোলা হয়েছে পরিবহন গুলোর এ কাউন্টার। শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ওই কার্যালয়ে যাত্রীদের বসবাস স্থানসহ নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক বাথরুমেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে জেলা শহরের যাত্রীরা অনেক বেশি সুবিধা ভোগ করবেন এবং একই জায়গায় সকল পরিবহণের কাউন্টার থাকায় নিজ সুবিধামত যানবাহণে তারা গন্তেব্যে যেতে পারবেন।