রাজবাড়ীতে দু’ব্যক্তিকে সৌদি আরব নিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ, নারী গ্রেপ্তার-
- Update Time : ০৫:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মে ২০১৮
- / ১৩ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ী থেকে দুই ব্যক্তিকে সৌদি আরব পাঠানোর পর তাদের আটকে রেখে দশ লাখ টাকা দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে রাজবাড়ী থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি সুমি আক্তার (২৫) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সুমি সদর উপজেলার খানখানাপুর ব্র্যাকপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবুল কালামের স্ত্রী।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো, সদর উপজেলার খানখানাপুর ব্র্যাকপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলী পটোয়ারীর ছেলে আলম পাটোয়ারী, মৃত ইদ্রিস আলী পটোয়ারীর স্ত্রী খোদেজা বেগম, গ্রেপ্তার হওয়া সুমির সৌদি প্রবাসী স্বামী আবুল কালাম এবং সদর উপজেলার বাণিবহের ফারুকের ছেলে জাহিদ।
মামলার বাদী ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের পশ্চিম মূলঘরের ছেলে হাবিবুর রহমানের ছেলে আমিন মন্ডল জানান, প্রবাসী আবুল কালাম সৌদি আরবে লোক পাঠানোর কথা বলে। যে কারণে তিনি তার ভাই আমিন মন্ডল এবং তার পরিচিত জসিম পাটোয়ারীর ভাই মাহফুজ পাটোয়ারীকে সৌদি আরব পাঠানোর জন্য বলেন। আবুল কালাম জনপ্রতি সাড়ে ৬ লাখ টাকা করে দাবী করে। এতে তারা রাজি হন এবং ওই দুই জনকে সৌদি পাঠানোর জন্য অন্যান্য আসামিদের কাছে ২০০১৭ সালের ১৬ জুন ১৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। এর পর আমিন মন্ডল ও মাহফুজ পাটোয়ারী সৌদি আরব যায়। তবে সেখানে যাবার পর পরই আবুল কালাম তাদের আটকে রাখে এবং বলে আরো দশ লাখ টাকা দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে আপশ মিমাংশা করা হয় এবং ওই দুইজনকে দেশে ফেরৎ আনা ও ১৩ লাখ টাকা ফেরৎ দেবার কথা বলে ইসলামী ব্যাংকের দুইটা খালি চেক সুমি আক্তার প্রদান করে। পরবর্তীতে ব্য্ংকে গিয়ে দেখা যায়, চেকে স্বাক্ষরকারী সুমি আক্তারের সেখানে কোন একাউন্ট নেই, সেখানে রয়েছে সুমি’র মা খোদেজা বেগমের একাউন্ট। এরই মাঝে গত সৌদি পুলিশের সহযোগিতায় মুক্তি ও দেশে ফেরৎ আনা সম্ভব হয় আমিন মন্ডল ও মাহফুজ পাটোয়ারীকে। তারা ফিরে আসার পর আটক রাখাসহ অন্যান্য বিষয় গুলো শুনে তিনি রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তবে গ্রেপ্তার হওয়া সুমি আক্তার বলেন, বেশ কিছু দিন আগে তার মায়ের ব্যাংক একাউন্টের চেক হারিয়ে যায়। আর ওই চেক নিয়েই বাদী পক্ষ মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রদান করেছেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী থানার এসআই জাহিদ হোসেন বলেন, ইতোমধ্যেই এ মামলাটির তদন্তকাজ শুরু করা হয়েছে। আসামি সুমি আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়