রাজবাড়ীতে নারী ব্যবসায়ীকে মারপিটের পর হাত-পা ও মুখ বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে দেবার অভিযোগ-

- Update Time : ০৯:০০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৮
- / ৩৬ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদপুর গ্রামে সালেহা আক্তার (৩০) নামে এক নারী ব্যবসায়ীকে নিজ বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিটের পর হাত-পা ও মুখ বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে দেবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই অভিযোগে আজ শুক্রবার সকালে সালেহা বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। এর আগে সালেহাকে গত সোমবার গভীর রাতে পথচারীরা উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সালেহা একই গ্রামের মৃত জীবন সেখের মেয়ে।
মামলার আসামিরা হলো, একই গ্রামের মৃত সুদান ঢুলির ছেলে রমজান ঢুলি, রমজান ঢুলির ছেলে জুয়েল ঢুলি ও সোহেল ঢুলি এবং হবি’র মেয়ে জয়াসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩/৪ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বামী পরিত্যাক্তা নিঃসন্তান সালেহা গঙ্গাপ্রসাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মুদি ও চটপটির দোকান পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। ওই বিদ্যালয় থেকে দেড় শত গজ দুরে থাকা বাবার বসত বাড়ীতে সালেহা বড় ভাই বছির সেখের ঘরে একাই বসবাস করে আসছেন।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ফ্লোরে চিকিৎসাধিন সালেহা বলেন, আসামিদের সাথে তার পূর্ব বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জের ধরে গত সোমবার রাত ১১টার দিকে তার ঘরের দরোজা ধাক্কা দেয়। এবং তাকে দরোজা খুলতে বলে। তিনি দরোজা খুলতেই রমজান ও তার সহযোগিরা গামছা ও রশি দিয়ে তার মুখ, হাত ও পা বাঁধে ফেলে এবং তারা তাকে উচু করে তুলে নিয়ে যায়। বাড়ী থেকে ৫শত গজ দুরের জনৈক বাতেনের বাড়ীর কাছে থাকা ব্রীজের রাস্তার পাশে নিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে তার শরীরে থাকা সালোয়ার-কামিজের বিভিন্ন অংশ ছিড়ে যায় এবং শরীরে নিলা ফোলার সৃষ্টি হয়। তার চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
রাজবাড়ী থানার এসআই এলাহী মিয়া বলেন, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং হাসপাতালে গিয়ে সালেহার খোঁজ খবর নিয়েছেন। সেই সাথে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়