একটি ভবনের আকুতি শিক্ষার্থীদের গোয়ালন্দে ইউএনও’র উদ্যোগে ঝড়ে ভাঙা স্কুলঘর পুনঃনির্মাণ-

- Update Time : ০৯:০৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৮
- / ১৩ Time View
আজু সিকদার, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার নদী ভাঙন কবলিত দেবগ্রাম ইউনিয়নের ২৭ নং বেথুরী সরাকারী প্রাথমিক বিদ্যলয়। নদী ভাঙনের ফলে স্কুলঘর বলতে যা ছিল তাও গত ৩০ মার্চ বিকেলে মৌসুমের প্রথম ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তারপর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছিল খোলা আকাশে নিচে।
বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু নাসার উদ্দিন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ঘর নির্মাণের জন্য ৩ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৯ হাজার টাকা প্রদান করেন। যা দিয়ে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য একচালা একটি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি অন্য স্কুলের মত তাদের স্কুলেও একটি সুন্দর ভবন নির্মাণ করা হোক।
সরেজমিন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নতুন ঢেউটিনের ঝকঝকে একটি একচালা স্কুল ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এ ঘরের মধ্যে পচন্ড গরমে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। তারপরও শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে আনন্দের ছাপ। খোলা আকাশের চেয়ে অনেক আনন্দে তারা ক্লাস করছে। আলাপকালে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়া আক্তার জানায়, আমাদের স্কুলে একটি ঘর হয়েছে এতে আমরা অনেক খুশি। তবে অন্য স্কুলের মত বিল্ডিং হলে আরো ভালো লাগত।
গোয়ালন্দ উপজেলার ২৭নং বেথুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর একাধিকবার নদী ভাঙন কবলে পরে। এ পরিস্থিতিতে এক ব্যক্তি স্কুলের নামে ৩৩ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়। সেই জায়গায় একটি ঘর করে কোন রকম স্কুলের পাঠদান করানো হয়। তবে সেই ঘরটিও গত ৩০ মার্চ ঝড়ে ভেঙে গিয়েছিল।
বেথুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. জিল্লুর রহমান জানান, ঝড়ে স্কুলঘরটি ভেঙে যাওয়ার পর ইউএনও স্যারের উদ্যোগে একটি নতুন টিনের ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য তিনি ইউএনও মহোদয় ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘একাধিকবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে এমনিতেই বিদ্যালয়টির অত্যন্ত দুরবস্থার মধ্যে আছে। শিক্ষার্থী ধরে রাখতে আমরা আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে বিদ্যালয়টির পাঠদান সম্পন্ন স্বাভাবিক করতে একটি ভবন নির্মাণ খুবই জরুরী।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু নাসার উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়টিতে আপাতত একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি পাঁকা ভবন নির্মাণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়