রাজবাড়ীতে সুচ ফুটিয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের সত্যতা পেল তদন্ত কমিটি-

- Update Time : ০৮:২৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ এপ্রিল ২০১৮
- / ৩৩ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
পড়া না পারায় শিক্ষার্থীদের সুচ ফুটিয়ে অভিনব নির্যাতন করা হয়েছে, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গণপত্তা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের। ওই ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সে কমিটি ইতোমধ্যেই তদন্ত প্রতিবেন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে তারা ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। যে কারণে নির্যাতনকারী শিক্ষককে অন্য উপজেলায় বদলীর সুপারিশ করা হয়েছে।
জানাগেছে, গত ৫ এপ্রিল ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তমা, সাদিয়া, জহুরুল, মাহফুজ, বাধন, ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী আলামিন, শিহাব, আলীপসহ ৮-৯ জন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হন। সেই সাথে তারা নির্যাতনকারী ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রলয় চক্রবর্তী বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সে সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার একই উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) তায়াবুর রহমান আশিকে আহবায়ক এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সমাজ সেবা অফিসারকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী তমা (রোল নং-১), পড়া না পারলেই সহকারী শিক্ষক প্রলয় চক্রবতী তাদের মারপিট করে। গত এপ্রিল বিজ্ঞান ক্লাস চলাকালীন সময়ে তাদের আঙ্গুল ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অভিনব পদ্ধতীতে সুচ ফুটিয়ে নির্যাতন করে। একই দিন তৃতীয় শ্রেণির ক্লাসেও ওই শিক্ষক পড়া না পারার জন্য শিক্ষার্থীদের গায়ে সুচ ফুটিয়ে নির্যাতন করে।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক সহকারী কমিশনার (ভূমি) তায়েবুর রহমান আশিক জানান, তারা সরেজমিনে ওই বিদ্যালয় যান এবং নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীসহ সংশ্লষ্ঠদের সাথে কথা বলেন এবং নির্দিষ্ট সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা জানান, ইতোমধ্যেই তিনি তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন। ওই প্রতিবেদনে তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষক প্রলয় চক্রবতী ইনজেকশন নেয়ার সবচেয়ে চিকন সিরিঞ্জের সুচমাথা দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের আঘাত করেছেন। সে কারণে নির্যাতনকারী শিক্ষককে অন্য উপজেলায় বদলীর একটি সুপারিশপত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইয়াসমিন করিমের মুঠো ফোনে দশ বার কল দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়