ফেরি সংকট ও ঝড়-বাতাসে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যান পারাপার ব্যহত –
- Update Time : ১০:০১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১৮
- / ১০ Time View
শামীম শেখ, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
গত শুক্রবার বিকেলে ও শনিবার সকালে দুই দফা কাল বৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে প্রায় দুই ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এর সাথে ফেরি সংকট যোগ হওয়ায় উভয় ঘাট এলাকায় শুক্রবার রাত থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার বিকেল ৪ টা নাগাদ দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় সিরিয়ালে আটকা ছিল অন্তত ৫ শতাধিক যানবাহন। এতে করে দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রী ও চালকরা।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া অফিস সূত্র জানায়, মৌসুমের প্রথম কাল বৈশাখী ঝড়ে পদ্মা-যমুনা নদী উত্তাল হয়ে যাওয়ায় শুক্র ও শনিবার দুইদিন দু’দফায় দুই ঘন্টার মত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। পাশাপাশি রুটের ১৬টি ফেরির মধ্যে গত ২৫দিন ধরে রোরো (বড়) ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিকল হয়ে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতে রয়েছে। এছাড়া রো রো ফেরি শাহ আলী গত তিন দিন ধরে যান্ত্রীক সমস্যায় পড়ে একই কারখানায় মেরামতে আছে।
এ দিকে শুক্রবার বিকেলে ঝড়ের সময় ঢেউয়ের তীব্র আঘাতে দৌলতদিয়ার ৫নং ফেরি ঘাটের আপ পকেটের কব্জা ভেঙ্গে যায়। শনিবার বিকেল নাগাদ কাজ করেও ওই কব্জা ঠিক করা যায়নি। এতে করে ওই ঘাটটি দিয়ে যানবাহন উঠানামা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে আছে।
সরেজমিন দেখা যায়,ফেরি ঘাট থেকে মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারীজ পর্যন্ত দুই সারিতে প্রায় তিন কিলোমিটার পণ্যবাহি ও যাত্রীবাহি পরিবহন আটকে রয়েছে। পচনশীল, বাসসহ জরুরী গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করায় অধিকাংশ সাধারণ পণ্যবাহি গাড়িগুলো আটকে পড়ছে। আটকে থাকা একাধিক ট্রাক চালক অভিযোগ করেন, কিছু জরুরী গাড়ির সাথে অনেক সাধারণ পণ্যবাহি গাড়ি ও যাত্রীবাহী কোচের চালকরা সিরিয়াল অমান্য করে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে বাড়তি অর্থ দিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় পার হয়ে যাচ্ছে।
রিপন মিয়া নামের এক কাভার্ড চালক মুঠোফোনে অভিযোগ করে বলেন, শনিবার বেলা চারটার দিকে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকায় সিরিয়ালে আটকে থাকা একটি ট্রাক বিকল হয়। ট্রাকটিতে চালকও ছিল না। এ সময় বিকল ট্রাকের সামনে থেকে অন্যান্য গাড়ী আগাতে থাকলে আমরা পিছন থেকে বিকল ট্রাকটিকে ওভারটেক করে সামনে গিয়ে আবার সিরিয়ালে অপেক্ষা করতে থাকি। কিন্তু বিকল ট্রাকটিকে ওভারটেক করার অপরাধে সার্জেন্ট আব্দুর রাজ্জাক এসে তাদের কয়েক গাড়ীর কাগজ পত্র নিয়ে যান। এতে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে সার্জেন্ট আঃ রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। তবে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জনের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হলে তিনি রিপন মিয়ার কাগজ-পত্র ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা নেন। এ সময় তিনি জানান, আমাদের কারো দ্বারা অযথা কোন চালক যাতে হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে আমরা সব সময় সচেষ্ট রয়েছি। অন্যান্য অভিযোগ সঠিক নয়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া অফিসের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, ঝড়ে দুই দফা ফেরি বন্ধ,একটি ঘাট ও দুটি ফেরি বিকল থাকার কারনে স্বাভাবিক যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক হচ্ছে। এতে আটকে থাকা যানবাহনের সারি সৃষ্টি হচ্ছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়