“লাল তীর বীজের প্রতারনা” গোয়ালন্দে বেগুন চাষ করে সর্বশান্ত কৃষক –
![](https://rajbaribarta.com/wp-content/uploads/2023/08/icon.png)
- Update Time : ০৯:৩৬:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০১৮
- / ১৪ Time View
শফিকুল ইসলাম শামীম, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
আমরা নদী ভাঙন এলাকার সাধারন মানুষ। বেশি ভাগ জায়গা জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন অন্যের জমি বার্ষিক টাকার বিনিময়ে সোনকারা (লীজ) নিয়ে আবাদ করি। বিগত কয়েক বছর বেগুন চাষ করে আমরা লাভবান হয়েছি। কিন্ত এবার “লাল তীর বীজ” কোম্পনীর প্রতারনায় বেগুন চাষ করে আমরা বিঘা প্রতি লাখ টাকার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
কথা গুলো বললেন দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আঃ মতিন। তিনি বলেন, আমরা আদি চাষী। জমি চাষ করে জীবন-যাপন করে থাকি। এই এলাকায় আমরা এবার ৪বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছি। কিন্ত লাল তীর বীজ ব্যবহার করে আমরা এবার সর্বশান্ত হয়ে গেছি। বীজ খারাপ হওয়ার কারণে বেগুন গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বেগুনের গাছ গুলো মরে যাচ্ছে। বেগুন গুলোর মধ্যে পোকা রয়েছে। বাজারের বিক্রি করতে চাইলে কেউ নেয় না।
তিনি বলেন, আমরা গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে গিয়েছিলাম। উপজেলা থেকে একাধিকবার সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। কিন্ত কোন লাভ হয়নি। এদিকে “লাল তীর বীজ” কোম্পানীর রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের কর্মকর্তাগন এসে কিছু কৃষকদের লোভ দেখিয়ে ক্ষতিপূরন দেওয়ার কথা বলে সই নিয়ে যায়। পরে আমরা জানতে পারি সেখানে লেখা ছিল বেগুন ভাল হয়েছে। এর পর থেকে কোম্পানীর লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে নানা প্রকার কথা বলে।
বেগুন চাষী নিয়মত বলেন, আমি ৪ বিঘা জমি লিচ নিয়ে বেগুন চাষ করেছি। “লাল তীর বীজের প্রতারনার কারণে আমি সর্বশান্ত হয়ে গেছি। বীজ ভাল হলে আমি বিঘা প্রতি কমপক্ষে এক/দেড় লাখ টাকা লাভবান হতাম। এখন আমার বরং বিঘা প্রতি লোকসান হচ্ছে। এর সঠিক বিচার চাই আমি। তিনি আরো বলেন, লাল তীর বীজ কোম্পানী কয়েক জন লোক এসে কিছু কৃষকের একটি কাগজে সই করে নিয়ে গেছে। কিন্ত তার পর থেকে কোন খোঁজ-খবর নেই।
এমন অভিযোগ শুধু মতি ও নিয়ামতের নয়। অভিযোগ গুলো রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পদ্মানদীর পারের দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের অনেক বেগুন চাষীর।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, গোয়ালন্দ উপজেলায় প্রায় ৯শত হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বেশি ভাগ বেগুন ভাল হয়েছে। কিছু কিছু বেগুন ক্ষেতে একবার ফলন দেওয়ার পর দুর্বল হয়ে পরছে। এ ব্যাপারে আমরা মাঠে গিয়ে কৃষকদের জৈব সার ও কেঁচো সার দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়