পুলিশ এস্যাল্ট মামলায় পাংশার ১২ জন কারাগারে –

রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
দীর্ঘ দিন ধরে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কাশবামাজাইল গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কারণে অকারণে মাঝে মধ্যেই দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। যার ধারাবাহিকতায় গত বুধবার দুই দফায় ১৬টি বাড়ী ও ঘর ভাংচুর এবং ৬জন আহত হবার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে এলাকায় টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি ১২ জনকে আটক করে। আটককৃতদের আজ বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে বুড়ো নামের একজনকে গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
থানা পুলিশ ও আহত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বুধবার ভোরে আওয়ামীলীগ নেতা জর্জ আলী বিশ্বাস গ্রুপ এবং কশবামাজাইল ইইনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানের গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। যার প্রেক্ষিতে জর্জ আলী বিশ্বাসের গ্রুপের লোকজন চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান গ্রুপের মিরাজ খা, রাসেল খা, সোবহান খা, মানিক মন্ডল, ভুট্ট খা, আয়ুব বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ও মস্তর বাড়ীসহ কমপক্ষে ১২টি বাড়ী ভাংচুর করে। অপরদিকে, চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানের গ্রুপের লোকজন জর্জ আলী বিশ্বাসের গ্রুপের আনজু মোল্লা, হিলা মোল্লা, বাবন মোলার বাড়ীসহ ৪টি বাড়ী ঘর ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পাংশা থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং ইউপি সদস্য জয়লাল আবেদিন, জর্জ আলী বিশ্বাসের ছেলে মতিন, বাংলাট গ্রামের বলো বিশ্বাস, সূর্বণ কোলা গ্রামের মিরাজ খাসহ উভয় গ্রুপের ১২ জনকে আটক করে। সেই সাথে বেশ কিছু ঢাল, শরকি, হাসুয়া, কুড়াল, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র উদ্ধার করেন।
পাংশা মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে ওই এলাকা অশান্ত। মাঝে মধ্যেই ছোটখাট বিষয় নিয়ে হয় সংঘর্ষ ও বাড়ী-ঘর ভাংচুরের ঘটনা। গত বুধবারও তেমনটি হয়। যে কারণে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার পাশাপাশি উভয় গ্রুপের ১২ জনকে আটক করতে সমর্থ হন। যদিও আটককৃতরা পুলিশ এসাল্ট মামলার আসামি। যে কারণে তাদের পুলিশ এসাল্ট মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) লাবিব আব্দুল্লাহ জানান, সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া কোন পক্ষের কাছ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।