ঈদের আগের দিন স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ –

রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
ঈদুল ফিতরের আগের দিন স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের কাকিলা দাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানাগেছে, প্রায় ৬ বছর আগে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের কাকিলা দাইর গ্রামের হাকিম আলীর ছেলে সাইদুর রহমানের সাথে পাশ্¦বর্তী উপজেলা বালিয়াকান্দির ইসলামপুর ইউনিয়নের হুলাইল গ্রামের অজিত ভদ্র-এর মেয়ে তমা খাতুন (২২)-এর বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে আব্দুল্লাহ নামে ৪ বছরসী একটি শিশু ছেলে রয়েছে।
তমা’র চাচা হান্নান ভদ্র বলেন, বিয়ের পর থেকেই জামাতা সাইদুর রহমান কারণে-অকারণে তমার উপর নির্যাতন করতো। সাম্প্রতিক সময়ে নির্যাতনের মাত্রা এতোই বাড়ানো হয় যে বাধ্য হয়ে তাকে তার বাবার বাড়ী চলে যেতে হয়। গত ছয় মাস ধরে তমা বাবার বাড়ীতে অবস্থান করলেও সাইদুর ও তার পরিবারের সদস্যরা একটি বারের জন্যও শিশু আব্দুল্লাহকে তার মা’য়ের সাথে দেখা করতে দেয়নি। ঈদুল ফিতরের আগের দিন সাইদুর অনেক অনুনয়-বিনিনয় করে তমাকে তার বাড়ীতে ফিরে আসতে বলেন। যে কারণে অনেক স্বপ্ন এবং ছেলেকে কাছে পাবার তীব্র আকাংখায় তিনি একটি রিকশায় চরে স্বামীর বাড়ীতে যান।
তমার ভাই তুষার ভদ্র বলেন, তমার স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যায়। শ^শুড়ালয়ে যাবার পর পরই পুনঃরায় নির্যাতনের শিকার হন তমা। এরই মাঝে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাইদুর মোবাইল ফোন করে তাদের জানায় তমা হার্ডফেল করছে। তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তমা মারা গেছে। এর পর থেকে সাইদুরসহ তার পরিবারের সদস্যরা আতœগোপনে রয়েছেন। তারা গতকাল সকালে দেখেন, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ওয়াশ রুমে রুমে তমার লাশ পরে আঝে। তার দাবী তমাকে নির্যাতন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার লোক দেখানোর ছলে লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে এনে রেখে পালিয়ে গেছে।
রাজবাড়ী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সৌরভ সিকদার জানান, তারা তমাকে মৃত অবস্থাতেই পেয়েছেন। যে কারণে লাশ তারা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রেখে রাজবাড়ী থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন।
রাজবাড়ী থানার এসআই এনছেন আলী বলেন, লাশটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে। সেই সাথে তা ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তমা আতœহত্যা করেছে না কি তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাবার পরই বলা সম্ভব হবে।